সামিরার আজ একটা বিয়ের দাওয়াত আছে। সুন্দর করে সেজেগুজেই সে চলে গেল। তার মেকাপ দেখে অন্যরা প্রশংসা করল এবং সে ধন্যবাদ জানাতে গিয়েই বাঁধল বিপত্তি। কারণলিপস্টিক যে তার দাঁতে লেগে আছে, তা সে খেয়ালই করে নি। যার ফলে উলটা সে এখন হাসির পাত্র হয়ে গেল।
এইরকম বিড়ম্বনায় আমদেরও হয়ত বেশ কয়েকবার পড়তে হয়েছে। তাই না?
তো, চলুন আজ জেনে নেই কিভাবে লিপস্টিক দাঁতে লেগে যাওয়ার বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
১. দাঁতে লিপস্টিক লেগে যাওয়া থেকে বাঁচতে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো লিকুইড ম্যাট লিপস্টিক-গুলো ব্যবহার করা। কারণ, এগুলো ট্রান্সফারপ্রুফ এবং লং-লাস্টিং হয়। যার ফলে দাঁতে লেগে যাওয়ার ভয় থাকে না।
২. লিপস্টিক লাগানোর পরে আপনার হাতের ইন্ডেক্স ফিঙ্গার দিয়ে ঠোঁট গোল করে নিয়ে ঠোঁটের ভেতরে ঢুকিয়ে নিয়ে আবার বের করে আনুন। এতে করে ঠোঁটের ভেতরের দিকের এক্সট্রা লিপস্টিক আপনার ফিঙ্গার-এ চলে আসবে আর দাঁতেও লেগে যাবে না।
৩. একটি টিস্যু নিয়ে বিশেষ করে ঠোঁটের ভেতরের দিকে বসিয়ে হালকা প্রেস করে নিন। এরপর তুলে ফেলুন। এতে করে ক্রিমি লিপস্টিক হলেও তা ছড়িয়ে গিয়ে দাঁতে লেগে যাবে না।
৪. যদি ক্রিমি ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকেন তবে তা এক লেয়ার ব্যবহার করাই ভালো। অতিরিক্ত লেয়ারিং লিপস্টিক ছড়িয়ে যেতে সাহায্য করে।
৫. মার্কেটে লিপ লক লিকুইড কিনতে পাওয়া যায়। লিপস্টিক-এর উপরে এই লিপ লক লাগিয়ে নিলে লিপস্টিক আর ট্রান্সফার হয়ে গিয়ে দাঁতে লাগার চিন্তা থাকে না।
৬. লিপস্টিক লাগানোর জন্য আদর্শ হলো লিপ ব্রাশ ব্যবহার করা। এতে করে লিপস্টিক সমানভাবে এবং স্মুদলি ঠোঁটে অ্যাপ্লাই করা যায় আর দাঁতে লেগে যায় না সহজে।
৭. অনেকেরই ঠোঁট কামড়ানোর অভ্যাস রয়েছে। যার ফলে লিপস্টিক সহজেই দাঁতে লেগে যায়। তাই এই অভ্যাস একদম ছাড়তে হবে। নয়ত, প্রতিনিয়তই হাসির পাত্র হতে হবে।
৮. খাওয়া দাওয়ার সময়ে লিপস্টিক ট্রান্সফার হয়ে দাঁতে লেগে যেতে পারে। তাই খাওয়া বা কিছু পান করার পরে চেক করে নেওয়াই ভালো।
৯. সব থেকে বড় কথা হচ্ছে লিপস্টিক লাগানো। প্রায়ই লিপস্টিক লাগানোর সময়েই দাঁতে লেগে যায়। তাড়াহুড়োর কারণে হয়ত খেয়াল করা হয় না। কিন্তু পরবর্তীতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাই লিপস্টিক লাগানোর সময় আস্তে ধীরে খেয়াল করে লাগানোই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
এই তো ছিল আজকের টপিক। আসলে এই দাঁতে লিপস্টিক লেগে যাওয়াটা এতই কমন, সবাই মোটামুটি এই প্রবলেম-এ ভোগে! তাই সাথে কিন্তু একটা পকেট মিরর রাখতে ভুলবেন না! মাঝে মাঝে চেক করে নেবেন। আর ফেইস টিস্যু রেখে দেবেন, যেন মুছে নেয়া যায়। আর সাথে ঠোঁটের ময়েশ্চারাইজিং-এ কমতি রাখবেন না। লিপস্টিক রেখে দেবেন প্রয়োজনতো পড়বেই আরেকবার দেয়ার জন্য। একটা স্মার্ট গেটআপ নিলে তা মেইনটেইনড থাকাটা খুব দরকার। আশা করছি ইনফরমেশন-গুলো আপনাদের জন্য হেল্পফুল হবে। ভালো থাকুন।
লিখেছেন- জান্নাতুল মৌ
ছবি- টুইটার.কম, কসমোপলিটান.কম, ইন্যাট.কম