Quantcast
Channel: Shajgoj
Viewing all articles
Browse latest Browse all 3057

পরিপূর্ণ ফেসিয়ালে কী কী ধাপ রয়েছে?

$
0
0

ত্বকের জন্য ফেসিয়াল শুধু জরুরী নয়, এটি ত্বকের চিকিৎসা হিসেবে ত্বককে কোমল, নরম এবং পরিষ্কার করে থাকে। এক কথায় স্বাস্থ্যবান ত্বকের জন্য ফেসিয়াল অপরিহার্য। কিন্তু সময় আর অর্থের অভাবে অনেকের পক্ষেই পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করা সম্ভব হয় না। তাদের জন্য আজকের লেখাটি। হাতের কাছের কিছু উপকরণ দিয়ে সহজেই ফেসিয়াল করা যায়। এতে পার্লারের মতো বেশি খরচ পড়ে না।

তবে অনেকেই জানি না পরিপূর্ণ ফেসিয়ালে কি কি ধাপ রয়েছে! একটি পরিপূর্ণ ফেসিয়ালের করার ৭ টি ধাপ রয়েছে। চলুনে জেনে নেয়া যাক সেই সব ধাপসমূহ সম্পর্কে।

(১) ক্লিঞ্জিং এবং ম্যাসাজিং (Cleansing and Massaging)

(২) স্টিমিং (Steaming)

(৩) স্ক্রাবিং (Scrubbing)

(৪) ফেসপ্যাক (Facepack)

(৫) টোনিং (Toning)

(৬) ট্রিটমেন্ট (Treatment)

(৭) ময়েশ্চারাইজিং (Moisturizing)

(১) ক্লিঞ্জিং এবং ম্যাসাজিং: ফেসিয়াল করার পূর্ব শর্ত হলো ত্বক পরিষ্কার করা। ত্বকের উপরিভাগ পরিষ্কার করার জন্য ক্লিঞ্জিং ক্রীম, ক্লিঞ্জিং অয়েল, ম্যাসাজ ক্রীম ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। ম্যাসাজ ক্রীম  ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি বাটিতে ম্যাসাজ ক্রীম এবং তাতে এক টুকরা বরফ নিয়ে তা ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর গলাসহ পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন পাঁচ মিনিট। ম্যাসাজ হয়ে গেলে তুলো ভিজিয়ে গলা ও মুখ মুছে নিন।

(২) স্টিমিং: এবার পালা স্টিমিং করার। স্টিমিং করার ফলে ত্বকের পোরসগুলো খুলে যায় এবং ত্বকের ভেতরকার ময়লা দূর হয়। একটি বাটিতে কুসুম গরম পানি নিন এবং তা থেকে গরম পানির ভাপ মুখে নিন। স্টিমিং করতে না চাইলে একটি তোয়ালে সহনীয় গরম পানিতে ভিজিয়ে হালকা করে মুখের উপর চেপে ধরুন পাঁচ মিনিট। যাদের ত্বক শুষ্ক এবং সংবেদনশীল তারা স্টিমিং করবেন দুই মিনিট।

(৩) স্ক্রাবিং:  স্টিমিং করার পরবর্তী কাজ হলো স্ক্রাবিং করা। স্ক্রাবিং করার ফলে ত্বকের মরা কোষ উঠে যায়, ব্ল্যাকহেডস দূর হয় এবং ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী স্ক্রাবিং প্রথমে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন তিন মিনিট। এরপর পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ হয়ে গেলে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী প্রাকৃতিক স্ক্রাবার  নিচে দেয়া হলো-

  • তৈলাক্ত ত্বকের জন্য স্ক্রাব: ১ টেবিল চামচ চিনি এবং অর্ধেকটি টমেটো দিয়ে তৈরি করুন স্ক্রাব।
  • শুষ্ক এবং মিশ্র ত্বকের জন্য স্ক্রাব: ২ টেবিল চামচ অটমিল, হাফ চামচ দারুচিনি গুঁড়া এবং ২ চা চামচ তরল দুধ মিশিয়ে তৈরি করুন স্ক্রাব।
  • সংবেদনশীল ত্বকের জন্য স্ক্রাব: ব্যবহৃত গ্রীন টি প্যাক হতে পাতা সমূহ বের করে তাতে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন।

(৪) ফেসপ্যাক ব্যবহার: স্ক্রাবিংকরার পর ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ফেসপ্যাক গলাসহ মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বকের ধরণ  অনুযায়ী ফেসপ্যাক নিচে দেওয়া হল-

  • তৈলাক্ত ত্বক - মসুর ডাল বাটা, শসার রস ও ডিমের সাদা অংশের পেস্ট অথবা মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের পেস্ট।
  • শুষ্ক ত্বক - সয়া পাউডার, দুধের সর, কাঁচা হলুদ ও গাজরের রস মেশানো পেস্ট।
  • সাধারণ ত্বক - বেসন ও গোলাপ জলের পেস্ট ও তার সঙ্গে গ্লিসারিন ।
  • সংবেদনশীল ত্বক - শসা, গোলাপ জল, কাঁচা হলুদের পেস্ট।

(৫) টোনিংটোনিংকরার ফলে ত্বক ঠান্ডাহয় এবং ত্বকের খুলে যাওয়া পোরস বন্ধ হয়। টোনার হিসেবে রোসবেরি ওয়াটার, রোজ-ওয়াটার, শসার রস ব্যবহার করতে পারেন। একটি তুলোর বল তৈরি করে তাতে টোনার নিয়ে লাগিয়ে রাখুন না শুকানো পর্যন্ত।

(৬) ট্রিট: উপরের ছয়টি ধাপ করার পর ত্বক কিছুটা সংবেদনশীল হয়ে পরবে। এর জন্য দরকার ট্রিট। ট্রিট এর জন্য যে কোন ভালো তেল, যেমন – অলিভ ওয়েল , আমন্ড ওয়েল অথবা নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক ফোটা তেল মুখে মেখে পাঁচ মিনিট রেখে দিন।

(৭) ময়েশ্চারাইজিং: শেষ ধাপ ময়েশ্চারাইজ করা। ময়েশ্চারাইজ করার ফলে ফেসিয়াল ফলপ্রসূ হয় এবং ট্রিট এর তেল টাকে ত্বকে লক করে রাখে। নিজের ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজ ক্রিম ব্যবহার করুন।

অনেক সময় ঘরে বসে নিজেই ফেসিয়াল করার সময় ব্ল্যাকহেডস দূর হয় না। এক্ষেত্রে নিচের প্যাক টি অনেক কাজে দেবে -

  • ১ চামচ দুধ
  • হাফ চামচ জেলাটিন (ফ্লেভার ছাড়া)
  • কয়েক ফোটা লেবুর রস

এসব উপকরণ মিশিয়ে ১ মিনিট ওভেনে রাখুন মিশ্রণটি মেল্ট হবার জন্য। মেল্ট হয়ে গেলে হালকা গরম থাকতে নাকের উপর লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে উঠিয়ে ফেলুন। ফলাফল দেখে নিজেই চমকে যাবেন।

উপরের সাতটি ধাপে খুব সহজেই নিজের ফেসিয়াল নিজেই করুন আর উপভোগ করুন কোমল ও উজ্জল ত্বক।

ছবি – স্টাইলক্রেজ ডট কম

লিখেছেন – জোহরা হাসান


Viewing all articles
Browse latest Browse all 3057

Trending Articles